বেদনাদায়ক নৈরাশ্যে উদীয়মান আলেম সমাজ
বেদনাদায়ক নৈরাশ্যে উদীয়মান আলেমেরা
আব্দুল হান্নান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমান সময়ে পৃথিবীকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের পুরোনো সেই দিন গুলোর কথা ভুলিয়ে দিয়েছে, যে কোন এককালে আমরা চাইলেই আমাদের প্রিয় জনের খোজ এত সহজে নিতে পারতাম না।তবে দেরীতে নিতে পারলেও তার সুদুর প্রসারী একটা প্রাণ আকর্ষন ছিলো।বাড়ী হতে দূরে থাকলে আপনজনদোর একটা চিঠির অপেক্ষায় থাকতাম।চিঠি খুলে বার বার পড়তাম আর মজা নিতাম।
আজ আর সেই সব দিন গুলো নেই। মানুষ সেই দিন গুলোকে মনেও করে না খুব একটা কারণ নিত্য নতুন প্রযুক্তি আমাদের সব কিছু কেই সহজ করে দিয়েছে। প্রযুক্তি একদিকে যেমন আমাদের জন্য সুফল বয়ে এনেছে অন্যদিকে আমাদের যুব সমাজের পাশাপাশি এর কুফলের খপ্পরে পড়েছে আমাদের উদিয়মান আলেম সমাজ।আনেক বুড়া আলেমও যে এর খপ্পরে পড়ে নাই তার নিশ্চয়তা নেই।আগেকার আলেম উলামাদের তুলনায় বর্তমানের উদিয়মান আলেমদের ডিগ্রী হইত অনেক বেশি হতে পারে তবে পুরাতনদের এলেমের যে প্রান ছিলো বর্তমানদের ভিতর তার অনুপস্থিত।নুতনদের এলেম এবং আমলের যে প্রানটুকু ছিলো স্যোসাল মিডিয়া আসার পর সেটুকুও সংহার হয়ে গেছে, বাকী আছে দাড়ি টুপি পান্জাবী পরা ঠনঠনে আলেম নামক মুর্দা ভেতরে প্রান নেই।একমাত্র ঐ সমস্ত আলেমদের এলেমের ভিতরে এখনো প্রান আছে যারা ফেসবুক চিনেনা,যারা ইউটিউব চিনেনা,যাদের হাতে ইন্টারনেটের মোবাইল নেই।আমার এলেমেও প্রান নেই আমিও এবাদতে আগের মত মজা পাইনা।আমি আমার নফসের কাছে দায়বদ্ধ।যখনই ফেসবুক খুলি একটু সামনে গেলেই দেখি নগ্ন মহিলার ছবি ভরা এ্যাকাউন্ট,নগ্নতার ভিডিও মনের আজান্তেই ক্লিক হয়ে নগ্নতা চলতে থাকে।হে উদিয়মান আলেম তোমার হাতে যদি স্মার্টফোন আর ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থাকে তবে তুমি কি বলতে পারবা যে নগ্নতার কোন দৃশ্য তোমার ফেসবুকে আসেনা? তোমার ইউটিউবে নগ্নতা আসেনা? যদি বলো আসেনা আর যদি বলো দেখেনি তবে তুমি মিথ্যা বলছো।মনে রাখতে হবে সুন্দর পোশাক আর বড় ডিগ্রী কখনো মুক্তি দিবেনা,মুক্তি দিবে এলেম অনুযায়ী আমলে।হইত বলতে পারো আপনার মত সবাই না,আমিও তাই বলি আমার মত তোমরা শয়তানের খপ্পরে পড়ে ফেসবুক,ইউটিউবে এলেমের পাশাপাশি গোনহগার হয়োনা।যুবক আলেম মনে রেখো স্মার্ট ফোন হাতে ইন্টারনেটে একাকিত্বে কোথায় যাও মনে করো কেউ দেখছেনা তোমার দুই কাঁধের দুই ফেরেশতা পাঁপ লিখছে আর তোমার মহান স্রষ্টা সব কিছু দেখছেন।হাতে সময় খুব কম,তোমাদের এখনো ফিরে আসার সময় আছে।সাধারণ মানুষের চাইতে আলেমদের পিছে শয়তান বেশি লাগে,আলেমদের পাঁপ যদি সাধারণ মানুষ অপেক্ষা বেশি হয়ে যায় তবে পাকড়াও অনিবর্য।তোমার হাতে স্মার্ট ফোন থাকবেনা এ কথা আমি বলিনা,তুমি বিশ্বের সংবাদ জানতে চাও,গুগল সার্চ করো অনেক পত্রিকা পাবে ওখানে দেখো ওখানেও নগ্নতা নেই তা আমি বলবনা।খবরের কাগুজে ও ছবি আসে তবে ফেসবুক ইউটিউবের মত না।ফেসবুকে ভালো কিছু পোষ্ট করো,প্রফাইলে গিয়ে শুধু তোমার পোষ্টের এ্যাকশন দেখো,আমি এটা হতেও তোমাকে বিরত হতে বলি,আমিও চেষ্টা করছি বিরত থাকার। বলবেন ফেসবুক ইউটিউবে ওয়াজ শুনবো,ওয়াজ শুনতে গিয়ে অন্য কিছু শুনতে পাবা।দরকার নেই যদি আল্লাহর সন্তষ্টির জন্যই আলেম হতে চাও তবে তোমাকে এ সব ত্যাগ করতে হবে।আর যদি শয়তানকে সন্তুষ্ট করতে চাও তবে ব্যবহার করো।আমার মনে হচ্ছে আমাদের মত বিভ্রান্ত আলেমদের নফসে আম্মারাটা তার চাহিদা মিটাতে মিটাতে এত মোটাতাজা হয়েছে যে রুহু তার সাথে যুদ্ধ করে আর পারছেনা,এই জন্য আমরা রব চাহে জিন্দেগী এর পরিবর্তে নফসে আম্মারা চাহে জিন্দেগীর দিকে ধাবমান।পায়ে ধরি তরুন আলেমেরা ফিরে এসো,তোমার নফসকে পাঁপের আধার হতে পরিশুদ্ধ করে আলোর পথে নিয়ে এসো।পাপের আধার হতে জাতীকেও আলোর পথে ডাকো।