কিরি কিরি
আমরা এমনিই হাঁটতেছিলাম
চা খাইতে বের হইছিলাম
বড় রাস্তার উপর আইসা দেখি একটা নায়ক নাঁচতেছে
রাস্তার ওইপাড়ে তার প্রেমিকার বাসা
আমরা আগায় গিয়া একটু উৎসুক হইলাম
অবস্থা থাকতে থাকতেই নায়কের সাথে যে ছিল
তাকে গিয়া জিজ্ঞাসা করলাম এইটা ইউটিউব না সিনেমা?
নাকি টিকটক, ছবির পরিচালক কই
কোন হেল্প লাগবে কি না,
আমরাও পেছন দিয়া একটু নাঁইচা দিব কিনা
সে আমাদের ভাগায় দিল। আমরা রাস্তা পাড় হয়ে চায়ের দোকানে চলে আসলাম
একটু পর দেখলাম নায়ক ঘেমে গ্যাছে, চলে যাচ্ছে।
নায়কের সহকারী এই দিকে এসে সিগ্রেট ধরাইলো,
আমাদেরকে সরিও বলল, বলল কোন নায়িকা নাকি কল দিয়েছে, নায়ক আর সে সেইখানে যাবে এখন।
প্রেমিকাকে ছেড়ে নায়ক, নায়িকার কাছে কেন যায়
আমি এইটা বুঝি নাই তখন; ওইখানে ডিরেক্টর থাকতে পারে একজন এইটাই বলল।
আরেক জন বলল, এই প্রেমিকাকে সে চিনে
তার মেহেদী লাগানো হাতের ছবি সে কিছুদিন আগে দেখছে।
আমরা জিঙ্গাসা করলাম, ক্যামনে দেখছেন,
লোকটা হাইসা দিয়া জানাইলো, ফেসবুকে, সে নায়কের এই প্রেমিকাকে ফলো করে ফেসবুকে।
ফোন বের করে আমাদের প্রেমিকাটার ফেসবুক আইডিটাও দেখায় দিল।
আমরা- চা বিস্কিট সিগারেট; কত হইছে আমাদের সেই দিকে মনযোগ দিলাম,
আমার কাছে দুই টাকার ভাংতি ছিল, সেইটা দিতে দিতে
দেখা কৈশোরের আবছায়ার ভেতর থেকে একটা হিন্দি সিনেমার গানের কথা টোকা মারল-
ওইখানেও সম্ভবত নায়িকার হাতে মেহেদী লাগানো ছিল,
সম্ভবত মেহেদীর খিলখিল করা রঙই সত্য বাকি সব মিথ্যা হবে।
রুমে গিয়া গানটা ম্যালা দিন পরে আজকে আবার একটু শুনে দেখব তাহলে-
কাউকে বুঝতে দেয়া যাবে না অবশ্য।
অন্তত আজকের ছুতায়,
চলে আসতে আসতে একটা- রোমন্থন, পাইলাম।
.
‘আনন্দ ফুরায়ে যায়’_
দুপুর বেলা মুরগী দিয়া ভাত খায়া সব টাকা শেষ হয়ে গ্যালো
তোমাকে কল দিতে গিয়া দেখি ফোনে ব্যালেন্স নাই
(ধারের কসরত সেও আনন্দের মত- ফুুরিয়ে গিয়েছে)
মাতবরি করে নেট প্যাকেজও কিনি নাই
এখন দুনিয়ার কাছে এই ভরা যৌবন বিঘ্নিত
অপর্যাপ্ততা নিয়ে যে কোন আন্তঃনগর বাইপাস মোড়ে নির্মিত
ভাস্কর্য্যের গৌরব আর বেকুবি নিয়া অপেক্ষায় আছি
দেখি হৃদয়ের কাছে ব্যর্থ হয় কি না মুঠোফোন মানে শিল্প বিপ্লব আরকি
দেখি কত তাড়াতাড়ি তুমি আমারে মনে করে ডাকবা এখন?
২২/৬/২০১৯