একোয়াহৃদিয়াম
সর্বনামে তাকাও-
এড়ায়ে যাওয়ার তুলনামূলক শিল্পীত পন্থায়।
ঈদের বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান, বাসা ভর্তি মেহমান
এবং দেয়ালের ঐকান্তিক মথ, আয়নায় শোয়ানো টিপ
আরও প্রথাগত.. বাদবাকি পায়রার অর্গল।
শোন সংযত-
এবেলা বৃষ্টি
ও বেলা তোমার মুখ
আমাদের প্রাচুর্য্য এই_
(দিকশূন্য নগর ডুবে গ্যালো তত্ত্বের ব্যাবাক আরোহনে
জলোচ্ছ্বাসের সংকট আর পূর্বাভাসে জলবেষ্টিত ফুটপাথ-
বিছানো ইটের পুলসিরাত লাফিয়ে পার হচ্ছে একটি গেরিলা অধ্যায়ন কর্মীর দল।
ওই, ঐ তো বিপরীত শব্দার্থের মোড় সামনে- দেখ, দৌড়ায়ে পাঁচরায়ে ঝিরঝির
একটা যাত্রী ছাউনির নিচেই ঢুকে পড়ছে বিশিষ্ট চাপালিশ-মিডিয়াকর্মী-বোধ হয় নিউ লিবারেল স্টাডিজের
ধান্দাবাজ অধ্যাপক-সিগারেট বিক্রেতা, পথচারী চার পাঁচ ছয়-গোঁফঅলা ব্যাঙ্কার, ওয়ানাবি জাদরেল অর্গানিক
ইন্টেলেক্ট-আমাদের বন্ধু বিসিএস ভাইবা প্রত্যাশী আবু সুফিয়ান-প্রতিবিপ্লবী একজন-একজন বিঙ্গাপনী সংস্থা-
মেধাবী ফাস্ট ক্লাস কুমকুম, দুইজন ধান্দাবাজ-তিনজন কর্পোরেট- একজন শিকারী- কৌশলী ছাত্রনেতা-একটা
ছাতা সন্ত্রাস-মোটর মেকানিকের মত চেহারারা, একটা ইয়ো চিকো ও একজন তেলতেলে, উনাদের মধ্যে
পকেটমার হিসেবে কাকে সন্দেহ করতেছ- একজন ভ্রূ কুচকানো তাড়াহুড়া- এনজিও আপা- স্কুল পলাতক-
সাইকেলঅলা মওলানা-ভৃত্য ও একজন বাড়িওয়ালী বোধহয়-একজন ব্লগার,পথচারী আরও চার পাঁচ ছয়কে
পেছনে ফেলে। এই বৃষ্টিজনিত দূর থেকে ছিমছাম মিডিলক্লাস হট্টগোলের চাকে
নির্ঘাত একটা দৃশ্যকাব্যের কম্পোজিশন ফুটে উঠবে বলেই বন্ধ্যা বেওয়ারিশ ঘিয়ে পশমের লুব্ধকটা গা ঝেড়ে
সাময়িক জলাতঙ্ক ছিটাচ্ছে, তোমাকে সুন্দর লাগছে বাই দ্যা ওয়ে)
ফিনকি হাওয়ায় ফাঁদপাতা কথাদের ছিপে
ভীড়ের ডাহুক দুইজনা-
ফেসে গ্যাছি দমকা স্বভাবের যন্ত্রণায়
এত দিনগুলি মিছেমিছি
অনিশ্চয়তার ঘোরেলা বিস্তার.. এই ভাবছ যদি
তোমার বাদামী হৃদপিণ্ডের কসম
সুবাহা,
কোন জবরদস্তি নাই
আমরা ত জানিই
জোড় বেঁধে তাও কতকাল
মরে পঁচে গ্যাছে প্রেম_বেহায়া উৎপাতের কারবার।
পিপাসার ঠোঁটে খড়কুটো নিয়ে
মরমের দিকে, স্বভাবের দিকে পাশ ফিরে বসে থাকা
অনুশীলনরত যন্ত্রীর মতন.. একাগ্রে-
নান্দনিক সমস্যার শৈবাল সব সামলায়ে
তড়পানো ফাপড়ের জিন্দেগীতে এইত বারবার
আর কি উপায়.. ?
<Deleted User> (18980)
Thu 15th Feb 2018 19:11
Not looking to reach a wide audience then?